আজ ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রিসোর্ট বালি দ্বীপ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর ডেনপাসার। আধুনিক ডেনপাসার একটি গতিশীল জীবন সহ একটি ব্যস্ত শহর। এই শহরটি অবকাশ যাপনকারীদের জন্য ঠিক উপযুক্ত নয়, তবে এখানে দেখার মতো কিছু আছে। পর্যটকরা অবশ্যই ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য দর্শনীয় স্থানগুলির পাশাপাশি স্থানীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় পার্কগুলিতে আগ্রহী হবেন৷
ডেনপাসার প্লেনে পৌঁছানো সবচেয়ে ভালো। পর্যটকরা এখানে বালির রিসোর্টে বিশ্রাম নিতে আসেন। এবং ডেনপাসার বিমানবন্দর ইন্দোনেশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর।
এয়ারপোর্টের ইতিহাস
ডাচ ঔপনিবেশিক সরকার 1930 সালে ডেনপাসার বিমানবন্দর চালু করেছিল। তখন রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ১ কিলোমিটারেরও কম। এরপর অ্যারোকমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা ইন্দোনেশিয়া সরকারের কাছে চলে যায়। এবং 1960 সালে, বিমানবন্দর ভবন এবং আশেপাশের এলাকাটি একটি বিশ্বব্যাপী পুনর্গঠনের শিকার হয়।
এয়ার হাবের ক্যাপিটাল রি-ইকুইপমেন্টের ফলে রানওয়ে ৩ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। এবং একই সময়ে, এটি ভারত মহাসাগরে স্থাপিত বাল্ক কাঠামোর দ্বারা বৃদ্ধি পায়।
এয়ারপোর্টডেনপাসার, যার ছবি আপনি আমাদের নিবন্ধে দেখতে পাচ্ছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নগুরা রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত। তাই ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা জাতীয় বীরের নামে তার নামকরণ করা হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, বিমানবন্দরটি স্থানীয় এবং পর্যটকদের কাছে কেবল ডেনপাসার বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
বিমানবন্দরের সাধারণ তথ্য
বালির বিমানবন্দরের একটি আন্তর্জাতিক ডিপিএস কোড রয়েছে। এবং যেহেতু এই দ্বীপের একমাত্র এয়ার কমপ্লেক্স, তাই সব পর্যটকরা এখানে থাকেন। ডেনপাসার একটি বিমানবন্দরআকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও, এটি প্রচুর সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করে। পর্যটকদের প্রবাহ বছরে 13 মিলিয়নেরও বেশি লোক৷
আগত ফ্লাইটগুলির দ্রুত পরিষেবার জন্য, 2013 সালে একটি নতুন সুসজ্জিত টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছিল এবং এখানে চালু করা হয়েছিল। একই সময়ে, পুরানোটিকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিষেবার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছিল৷
এটা অবশ্যই বলা উচিত যে সময়ে সময়ে ডেনপাসার বিমানবন্দর ফ্লাইট এবং ফ্লাইট গ্রহণের জন্য বন্ধ থাকে। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং বায়ুমণ্ডলে ছাই ছাড়ার কারণে বায়ু যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে বাধ্য হয়। ইন্দোনেশিয়ায় 130টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে৷
অবস্থান
ডেনপাসার (বিমানবন্দর) দ্বীপের দক্ষিণ অংশে তুরবান গ্রামের কাছে নির্মিত হয়েছিল। রাজধানী থেকে এয়ার কমপ্লেক্স 13 কিলোমিটার দূরে। এবং এর নিকটতম শহরগুলি হল কুটা এবং জিম্বারান, যা যথাক্রমে মাত্র 2 এবং 3 কিলোমিটার দূরে৷
বিমানবন্দরের অবকাঠামো
এয়ারপোর্ট থেকে শহরে কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই।অতএব, পর্যটকদের একটি স্থানান্তর বা ট্যাক্সি ব্যবহার করতে হবে। যাইহোক, একটি ট্যাক্সি অর্ডার করার পাশাপাশি একটি গাড়ি ভাড়া করা ভাল আগে থেকেই করা হয়। গাড়ি ছাড়াও, স্থানীয় কোম্পানিগুলির 16 জনের জন্য আরামদায়ক মিনিবাস রয়েছে। এছাড়াও, প্রাইভেট ট্যাক্সি ড্রাইভাররাও এখানে অর্থোপার্জনের চেষ্টা করছে, যারা বিশেষায়িত এজেন্সিগুলির চেয়ে তাদের পরিষেবার জন্য একটু বেশি চায়৷
ডেনপাসার (বিমানবন্দর) তার যাত্রীদের এবং অভিবাদনকারীদের জন্য একটি বহুতল আচ্ছাদিত পার্কিং এলাকা, সেইসাথে গাড়ি এবং মোটরবাইকের জন্য উন্মুক্ত পার্কিংয়ের মতো একটি পরিষেবা উপস্থাপন করে। একটি গাড়ির জন্য পার্কিং স্পেস ব্যবহার করার জন্য প্রতিদিন মূল্য 30,000 টাকা, মোটরবাইকের জন্য 5,000 টাকা৷ দ্বীপের চারপাশে অবাধে চলাচলের জন্য, অনেক পর্যটক স্থানীয় এজেন্সিগুলির সাথে আগে থেকে একটি গাড়ি বুক করে।
এয়ারপোর্টে আপনি বিভিন্ন ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ খুঁজে পেতে পারেন, তবে শহরের তুলনায় তাদের দাম অনেক বেশি। এছাড়াও, মুদ্রা বিনিময় অফিস এবং এটিএম রয়েছে।
নতুন টার্মিনালে একটি বাম-লাগেজ অফিস রয়েছে যেখানে আপনি প্রতিদিন 50,000 টাকায় আপনার লাগেজ রেখে যেতে পারেন। এবং যারা প্রস্থান করছেন তাদের পরিষেবাতেও এর প্যাকেজিংয়ের জন্য একটি বিন্দু রয়েছে। এই পরিষেবার খরচ স্যুটকেসের আকারের উপর নির্ভর করে, তবে একটি স্যুটকেস প্যাক করতে প্রায় 50,000 টাকা খরচ হয়৷
আগত এলাকায় আপনি স্থানীয় মোবাইল সিম কার্ড কিনতে পারেন। বিক্রেতারা আপনাকে সেট আপ করতে এবং আপনার মোবাইল ফোনকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করতে পেরে খুশি হবে৷ বিমানবন্দর জুড়ে একটি বিনামূল্যে পরিষেবা আছে।ইন্টারনেট।
ডেনপাসারে আগত রাশিয়ান পর্যটকরা ঘটনাস্থলেই ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, যার মূল্য $৩৫, এক মাসের জন্য। এটি প্রদান করা হয় যে তাদের পাসপোর্ট পরবর্তী 6 মাসের জন্য বৈধ থাকবে। যদি ইচ্ছা হয়, ভিসা ইমিগ্রেশন অফিসে আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
