হ্যারি পটারের চমত্কার গল্পটি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু ভক্তরা হগওয়ার্টস আসলেই কোথায় এই প্রশ্নটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই দুর্গ এবং এর আশেপাশেই তরুণ জাদুকরের সাথে জড়িত সমস্ত প্রধান ঘটনা ঘটেছিল।
J. K. রাউলিংয়ের কাজের যে কোনো ভক্তের জন্য হগওয়ার্টস পরিদর্শন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোথায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শুরুর জন্য, বই থেকে শেখা ভালো।
কাজের প্লট অনুযায়ী
লেখক নিজেই কিছু সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে জাদুবিদ্যার স্কুল স্কটল্যান্ডে অবস্থিত। সেখানেই তিনি তার বই লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। সিনেমার ফুটেজ এই প্রকাশগুলি নিশ্চিত করে৷
হগওয়ার্টস স্কুল কোথায় অবস্থিত তা একজন সাধারণ মাগলের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। এই জায়গাটি মন্ত্রমুগ্ধ, এবং এমনকি যদি একজন সাধারণ মানুষ দুর্গের কাছে আসে তবে সে কেবল একটি নিষেধাজ্ঞার চিহ্ন সহ ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাবে।
হগওয়ার্টস সীমান্ত অতিক্রম করাও অসম্ভব। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং কঠোরভাবে সীমিত জায়গায় করা যেতে পারে। স্কুলে কোন স্বাভাবিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নেই, যেহেতু কোন শক্তির ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য, ব্যতীতযাদুকর।
দুর্গ থেকে খুব দূরে হগসমিড গ্রাম, যেখানে শুধু জাদুকররা বাস করে। হগসমিড স্টেশনে ছাত্রদের নিয়ে ট্রেন আসে৷
চলচ্চিত্রটি জাদুবিদ্যার অন্যান্য বিদ্যালয়েরও উল্লেখ করেছে:
- সালেম উইচ ইনস্টিটিউট (সম্ভবত ইউএসএ)।
- শর্ম্বাটন (ফ্রান্স)।
- ব্রাজিলিয়ান স্কুল অফ ম্যাজিক।
- ডার্মস্ট্রাং ম্যাজিক স্কুল (হয়তো হল্যান্ড)।
অবশ্যই, জাদুবিদ্যা এবং সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক, তবে শুটিং বাস্তব স্থাপত্য এবং প্রাকৃতিক বস্তুতে করা হয়েছিল। যদিও লেআউট ছাড়া নয়। এটি ওয়ার্নার ব্রাদার্স ফিল্ম স্টুডিওর সাইটে নির্মিত হয়েছিল। এর পরে, আমরা হগওয়ার্টস দুর্গ এবং এর প্রধান প্রাঙ্গন কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে কথা বলব।
কী হগওয়ার্টস স্থান সম্পর্কে জানার জন্য
গাথার অনুগামীরা অবশ্যই হগওয়ার্টস পছন্দ করবে, যেখানে জাদুর "শহর" অবস্থিত - অনেক গোপন জায়গা - এবং প্রধান ঘটনাগুলি একক সংমিশ্রণে সংঘটিত হয়। যাইহোক, এটি এমন নয়, তাই, কাল্পনিক দুর্গের সমস্ত অংশ পরিদর্শন করার জন্য, পর্যটককে প্রচুর ভ্রমণ করতে হবে। যদিও, নিঃসন্দেহে, এটি মূল্যবান৷
আপনি হ্যারি পটার এবং তার বন্ধুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেখার মতো জায়গাগুলি কী কী? এখানে একটি নমুনা তালিকা:
- হগওয়ার্টস ক্যাসেল - নর্থম্বারল্যান্ড।
- ডার্ক ফরেস্ট - বাকিংহামশায়ার।
- ডাইনিং রুম - অক্সফোর্ড।
- লাইব্রেরি - অক্সফোর্ড।
- চেম্বার অফ সিক্রেটস - উইল্টশায়ার।
- ক্যাসল করিডোর - গ্লুচেস্টার ক্যাথিড্রাল।
- কিংস ক্রস স্টেশন - লন্ডন।
- হগসমিড স্টেশন - গটল্যান্ড কাউন্টিইয়র্কশায়ার।
হগওয়ার্টস ক্যাসেল
আসল দুর্গ যেখানে শুটিং করা হয়েছিল সেটি হল অ্যানউইক। এটি নর্থম্বারল্যান্ডের কাউন্টিতে অবস্থিত, যা স্কটল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত। এই প্রাচীন দুর্গের আঙিনায় যাদুকররা কুইডিচ খেলত এবং ঝাড়ুতে উড়তে শিখেছিল।
অ্যালনিকের গল্প হ্যারি পটার ফিল্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার সম্পর্কে তথ্য 1096 সালের। এটি সর্বদা তার অভ্যন্তরীণ সজ্জা, আর্ট গ্যালারী, গ্রন্থাগারের জন্য পরিচিত। এটি রবিন হুড, রানী এলিজাবেথ, নাইট ইভানহো সম্পর্কে চলচ্চিত্রের শুটিং করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। জে কে রাউলিংয়ের বইয়ের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রের গল্পে, তিনি হগওয়ার্টসে পরিণত হন।
কোথায় এই মায়াবী জায়গা, হাজার হাজার পাঠক জানার স্বপ্ন দেখেছেন। এই কারণেই আলনিকা দুর্গের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যা বহু বছর ধরে বিবর্ণ হয়নি।
তবে ছবিটি শুধুমাত্র প্যাভিলিয়ন এবং অ্যালনিকায় চিত্রায়িত হয়নি। পরিচালকরা স্কুলের একটি সম্মিলিত চিত্র তৈরি করেছেন, যা অনেক আকর্ষণীয় স্থানকে সংযুক্ত করেছে।
নিষিদ্ধ বন
প্লট অনুসারে, জাদুবিদ্যার স্কুলটি বনের কাছে অবস্থিত, যেখানে ইউনিকর্ন এবং ভয়ঙ্কর ওয়ারউলভ বাস করে। চিত্রগ্রহণের আসল স্থান ছিল ব্ল্যাক পার্ক, যা বাকিংহামশায়ারে অবস্থিত। বনের পরিবেশকে সাজসজ্জার সাথে পরিপূরক করতে হবে না, যেহেতু এটি নিজেই এত ঘন যে এমনকি একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও গোধূলি হয়।
ডাইনিং রুম
ক্যান্টিন প্রায়ই ফ্রেমে প্রদর্শিত হয়। এতেই তরুণ জাদুকররা ফিল্ম গাথার প্রতিটি পর্বে স্কুল বছর শুরু করে এবং শেষ করে। এটি আলনিকায় অবস্থিত নয়। উপরেএটি আসলে ক্রাইস্ট চার্চ কলেজের ডাইনিং হল, যা অক্সফোর্ডের অংশ।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এক সময় অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের লেখক লুইস ক্যারল এবং বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এটি থেকে স্নাতক হন। অন্যান্য সমানভাবে বিখ্যাত ছাত্ররা ছিলেন অসামান্য লেখক অস্কার ওয়াইল্ড এবং জন রোনাল্ড রিউয়েল টলকিয়েন৷
লাইব্রেরি
অক্সফোর্ড হগওয়ার্টস স্কুল তৈরির জন্য আরেকটি চিত্রগ্রহণের স্থান প্রদান করেছে। কোথায় সেই বইয়ের আমানত যেখানে তরুণ হারমায়োনি এত তথ্য আঁকতে ভালবাসত? এটি একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত বোদলিয়ান লাইব্রেরিতে ঘটেছে। এটি ডিউক হামফ্রির অন্তর্গত। এখন অবধি, এটি পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে পুরানো এবং বৃহত্তম ধারক হিসাবে বিবেচিত হয়৷
কেসল করিডোর
যাদু এবং জাদুবিদ্যার স্কুলের ছাত্ররা যে করিডোর দিয়ে দৌড়েছিল তা আসলে গ্লুচেস্টার ক্যাথেড্রালে অবস্থিত। তাদের ফ্যান আর্চ তাদের চেহারা সঙ্গে মুগ্ধ. ক্যাথেড্রালটি নিজেই 14 শতকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল। এটি যথাযথভাবে সেই সময় এবং আধুনিকতা উভয়ের স্থাপত্যের একটি মুক্তা হিসাবে বিবেচিত হয়৷
তার জেলায় - অবিশ্বাস্যভাবে মনোরম ল্যান্ডস্কেপ যা বিভিন্ন আকার এবং আকারের সাথে বিস্মিত করে। এই করিডোরে হ্যারি এবং রন তাদের গার্লফ্রেন্ডকে গল্পের প্রথম অংশে একটি বিশাল ট্রলের হাত থেকে উদ্ধার করেছিলেন৷
চেম্বার অফ সিক্রেটস
চেম্বার অফ সিক্রেটসের জন্য স্থানটি বেছে নেওয়া হয়েছিল ল্যাকক অ্যাবে, যা উইল্টশায়ারে অবস্থিত। এছাড়া হ্যারির কণ্ঠস্বর শুনেছেন এমন দৃশ্যগুলোওবেসিলিস্ক তার সাজা প্রদান করছে।
অ্যাবে ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে একজন ইংরেজ উদ্ভাবকের বাড়ি হওয়ার জন্য বিখ্যাত। তার নাম ছিল উইলিয়াম ট্যাবল্ট। নানারী পরিদর্শন করার পরে, আপনি অনেক অডিটোরিয়াম চিনতে পারেন যেখানে তরুণ জাদুকরদের ক্লাস হয়েছিল।
কিংস ক্রস স্টেশন
প্লট অনুসারে, কিংস ক্রস স্টেশনের 9 ¾ প্ল্যাটফর্ম থেকে জাদুকরদের স্কুলের ট্রেনটি ছেড়ে যায়। চিত্রগ্রহণে চতুর্থ এবং পঞ্চম প্ল্যাটফর্মের মধ্যে একটি খিলানযুক্ত প্রাচীর ব্যবহার করা হয়েছিল। রাউলিংয়ের কাজের প্রশংসকদের জন্য, প্ল্যাটফর্মে একটি ইনস্টলেশন তৈরি করা হয়েছে একটি কার্ট আকারে দেওয়ালে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সেখানে একটি চিহ্নও লাগানো আছে, যার উপরে ইংরেজিতে লেখা আছে: "প্ল্যাটফর্ম 9 ¾"।
হগসমিড স্টেশন
এই স্টেশন থেকেই লোকোমোটিভ তরুণ জাদুকরদের জাদুর স্কুলে নিয়ে যায়। চিত্রগ্রহণের আসল অবস্থান ছিল ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত গোটল্যান্ডের ফোরকোর্ট। সেখানেই ইংল্যান্ডের প্রথম রেলপথের একটি নির্মিত হয়েছিল।
এগুলি এমন কিছু লোকেশন যা একজন তরুণ জাদুকর এবং তার বন্ধুদের মনোমুগ্ধকর কাহিনী চিত্রিত করার জন্য ব্যবহৃত হয় যারা একটি বিপজ্জনক জাদুকরের বিরুদ্ধে মরিয়া লড়াই করে যার নাম বলতে সাহস হয়।
মুভির অনেক দৃশ্যই বাস্তব। এর মধ্যে, হগওয়ার্টস চলচ্চিত্রের গল্পের নির্মাতারা। রাশিয়ার বিখ্যাত স্কুলের প্রোটোটাইপ কোথায় অবস্থিত? দুর্ভাগ্যবশত, তালিকাভুক্ত দর্শনীয় স্থানগুলোর কোনোটিরই আমাদের দেশের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
