দোহা হল কাতারের রাজধানী এবং বৃহত্তম জনবহুল শহর। মেট্রোপলিটন জনসংখ্যা এই আরব রাষ্ট্রের সমস্ত বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি। "দোহা" এর আক্ষরিক অর্থ "বড় গাছ"। পারস্য উপসাগরের উপকূলে আরামদায়কভাবে অবস্থিত, কাতার রাজ্যটি দীর্ঘকাল পর্যটকদের চোখের অদৃশ্য রয়ে গেছে। অতএব, এমনকি পরিশীলিত ভ্রমণকারীরা প্রায়শই জিজ্ঞাসা করতে পারেন: "দোহা… কাতার… এটি কোথায়?"
কাতার উপদ্বীপ, আরব উপদ্বীপের পূর্বে অবস্থিত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব এবং সমুদ্র জুড়ে, বাহরাইন।
কাতার। দোহা বিমানবন্দর যাত্রীদের স্বাগত জানায়
রাজধানীর কেন্দ্র থেকে 5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গ্রাহকদের উচ্চ মানের পরিষেবা প্রদান করে। পরিচারকদের সদিচ্ছা এবং অবাধ পেশাদারিত্ব কাতার রাষ্ট্রের জন্য আনন্দদায়ক প্রশংসার কারণ। দোহা বিমানবন্দর একটি পরিষ্কার এবং দ্রুত পরিবহন সংস্থার সাথে যাত্রীদের খুশি করে। সাধারণ এশিয়ান বিভ্রান্তির অনুপস্থিতি সর্বাধিক প্রদত্ত পরিষেবার সাথে মিলিত হয়। লাউঞ্জ, ফ্রি ওয়াই-ফাই এবংএকটি শাটল পরিষেবা, একটি খেলার মাঠ, সেইসাথে অনেক শুল্ক-মুক্ত দোকান এবং রেস্তোরাঁ, একটি 24 ঘন্টা পোস্ট অফিস এবং এমনকি তিনটি মসজিদ এই বিমানবন্দরের ভূখণ্ডে পাওয়া যাবে৷
ফ্লাইটের মধ্যে অস্থায়ী ব্যবধানের ক্ষেত্রে, যাত্রীদের বিনামূল্যে হোটেল রুম এবং ভিসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক তথ্য
19 শতকে ফিরে, যেখানে এখন দুর্দান্ত রাজধানী শহরটি সমৃদ্ধ, সেখানে একটি পরিমিতভাবে অবস্থিত মাছ ধরার গ্রাম ছিল, যা প্রায়ই জলদস্যুদের আশ্রয় দিত। তারা আল-বিদা বন্দরটি খুব ভালভাবে জানত, যেখানে তাদের প্রায়শই পারস্য উপসাগরে দীর্ঘ বিচরণ করার সময় যেতে হত। 1916 সাল থেকে, দোহা বড় হতে শুরু করে, কাতারের প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত হয়, যেটি সেই সময়ে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে, দোহা (কাতার) দ্রুত বিকশিত হতে শুরু করে। এই অঞ্চলের দ্রুত বৃদ্ধি তেল ও গ্যাস ব্যবসার বিকাশের একটি যুক্তিসঙ্গত ফলাফল ছিল। 1971 কাতারকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল দোহা। সম্প্রতি, এই দেশের সরকার উন্নয়নের নতুন উপায় খুঁজছে: পটভূমিতে কাঁচামাল ছেড়ে দিয়ে, কাতার কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল গঠনের দিকে মনোনিবেশ করছে। বিমান যোগাযোগের সমৃদ্ধির জন্য চিত্তাকর্ষক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, মাছ ধরার শিল্পের প্রচার এবং মুক্তা আহরণে অনেক মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
গরম জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য
ইউরোপীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গরম গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে, সর্বাধিকবিশ্রামের জন্য একটি আরামদায়ক সময় হল এপ্রিল থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। গ্রীষ্মকালে, উপকূলীয় অঞ্চলের উচ্চ আর্দ্রতা এবং প্রচণ্ড তাপ গাছপালা এবং দোহা শহর শুকিয়ে যায়। শীতকালে কাতার প্রায় অবিরাম, দীর্ঘায়িত গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃষ্টিপাত, এই মৌসুমের জন্য সাধারণ।
স্থাপত্য ঐতিহ্যবাদ
বিশেষ আগ্রহের বিষয় হল আরবি শৈলীর বহিরাগততা এবং স্থানীয় জলবায়ুর অবস্থার সাথে ঐতিহ্যবাহী বাড়ি এবং ভবনগুলির সর্বাধিক অভিযোজন। শহরের পুরানো কোয়ার্টারগুলির বৈশিষ্ট্যগত বিকাশ, পাম গলিতে তৈরি, অদ্ভুতভাবে অতি-আধুনিক বাড়ি এবং পথের সাথে মিলিত হয়েছে। নগর উন্নয়নের কেন্দ্রীয় অংশটি একটি বৃহৎ নির্মাণ সাইটের মতো দেখায়, যেখানে ইতিমধ্যে কাজের জিনিসগুলি আসে, প্রায়শই হোটেলগুলি। বিলাসবহুল ভিলা এবং তেল রাজাদের মহৎ প্রাসাদ গুলো শুধু অলস পর্যটক এবং বিশিষ্ট অতিথিদেরই নয়, বিখ্যাত স্থপতিদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরব স্থাপত্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপাদানগুলি ধীরে ধীরে একটি নতুন প্রবণতা হয়ে উঠছে, যা ইসলামী রাষ্ট্রগুলির সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আলোকিত বিজ্ঞাপন এবং সন্ধ্যায় অগণিত আলো শহরটিকে একটি মোহনীয় এবং বিশেষ করে উত্সবের চেহারা দেয়৷
দোহা (কাতার) শহরের জনসংখ্যা
এই স্থানগুলির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল আদিবাসী মানুষ, যারা সংখ্যালঘু, বাকি জনসংখ্যা দক্ষিণ এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন থেকে আসা অভিবাসী। এবং অন্যান্য অনেক দেশ। সাম্প্রতিক অতীতে, প্রবাসীদের কাতারে কেনাকাটা করা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ ছিলসম্পত্তিতে জমির প্লট, তবে বর্তমানে, কিছু এলাকায়, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে৷
ভ্রমণ চুম্বক
অনেক দুর্দান্ত হোটেল এবং সুইমিং পুল, ওয়াটার স্লাইড এবং অন্যান্য আকর্ষণ সহ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত ভক্তদের রোদে স্নান করতে এবং জলের উপাদানে উল্লাস করতে প্রলুব্ধ করে৷
স্থানীয়রা বাজপাখি এবং উটের দৌড়ের প্রতি অনুরাগী, কৌতূহলী পর্যটকদের এই ধরনের বিচিত্র বিনোদনে আকৃষ্ট করে। মরুভূমির মাঝখানে একটি প্রস্ফুটিত মরূদ্যান কাতার, দোহা। এই এশিয়ান দেশে ছুটির দিনগুলি ঋতুর অভাবের কারণে পর্যটকদের পরিদর্শন করার জন্য অনেক খরচ হবে, যার মানে বাসস্থানের উপর ছাড়। আকর্ষণীয় এবং আমন্ত্রণমূলক শপিং সেন্টার এবং স্যুভেনির শপ, হোটেল, রিসর্ট বিনোদনগুলি ধ্রুবক এবং যথেষ্ট খরচের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা দরিদ্র মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়৷
উম্মে-সালাল-মোহাম্মদ
কাতারের সবচেয়ে ধনী ইতিহাস, যা প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ক্রমবর্ধমান ভূগোল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে, এটি আরও বেশি সংখ্যক গবেষকদের আকর্ষণ করে৷ প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন অনুসন্ধান করা বিশেষজ্ঞদের জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং সহজভাবে আগ্রহী বাসিন্দারা যারা আগ্রহ নিয়ে কাতার (দোহা) সফর করেছেন। আরব রাষ্ট্রের তরুণ রাজধানীর দর্শনীয় স্থানগুলি এত একঘেয়ে এবং বিরক্তিকর নয়, যেমনটি কারও কাছে মনে হয়। উম্ম সালাল মোহাম্মদের দুর্গ পরিদর্শন করার সময় সত্যিই চমত্কার ভিজ্যুয়াল অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়।
দুটি বুরুজ এবং একটি পুরানো মিনার সহ একটি ছোট তুষার-সাদা মসজিদ আশ্চর্যজনকভাবে চকচকে সাদার সাথে বিপরীতগন্ধযুক্ত মরুভূমি এবং আকাশী সমুদ্র। এই দুর্গের আশেপাশে থাকা ঢিবিগুলি প্রত্নতাত্ত্বিকদের দ্বারা নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করা হয়। সব সম্ভাবনায়, তাদের গঠন 3য় সহস্রাব্দ বিসি-তে দায়ী করা হয়। ই।, এবং যেহেতু ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ব্যারোতে কবর দেওয়া নিষিদ্ধ, সেগুলি সবচেয়ে প্রাচীন প্রাক-ইসলামিক উপজাতি এবং এমনকি পৌরাণিক আটলান্টিনরা রেখে যেতে পারত।
মিউজিয়াম
এশিয়ায় মানবজাতির উৎপত্তির কথিত কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হিসাবে, দোহা (কাতার) এর যাদুঘরগুলির জন্য আকর্ষণীয়। শেখ আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদের প্রাসাদে একটি জাতীয় যাদুঘর রয়েছে, যার প্রধান প্রদর্শনী হল একটি দ্বি-স্তরের অ্যাকোয়ারিয়াম যা উপসাগরের ডুবো বিশ্বের প্রতিনিধিদের দ্বারা বসবাস করে। তাদের মধ্যে কিছু বর্তমানে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে (উদাহরণস্বরূপ, স্থানীয় সামুদ্রিক কচ্ছপ)। অত্যন্ত আগ্রহের বিষয় হল এই প্রদর্শনীগুলি যা দর্শকদের ঐতিহ্যগত জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত নৌ-যন্ত্র এবং প্রাচীন নাবিকদের পরিচিত পদ্ধতিগুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আরব সমুদ্র অভিযানের ঐতিহাসিক প্রমাণ এবং ইসলাম গঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। এখানে আপনি কাতারি জনগণের ঐতিহ্যগত জীবনধারা এবং এই এলাকার শিল্পের ক্রমশ বিকাশ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
অস্ত্র জাদুঘরটি বেশ জনপ্রিয়, বেশিরভাগই শেখের সংগ্রহ সামগ্রী নিয়ে গঠিত। সংগ্রহের "হাইলাইট" হল 12-19 শতকের অনন্য আরব ফ্লিন্টলক বন্দুক। দোহা (কাতার) শহরের নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, একটি শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের সময় পাওয়া একটি ঐতিহ্যবাহী কাতারি ভবনে অবস্থিত, আপনাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার অবস্থা এবং জীবন অনুভব করতে এবং দেখতে দেয়।সাম্প্রতিক অতীতে, এই অঞ্চলে তেল ও গ্যাস আবিষ্কারের আগে। যাদুঘরের প্রদর্শনীর মধ্যে একটি হল "উইন্ড টাওয়ার", যা আমাদের সময় পর্যন্ত টিকে আছে, পূর্ববর্তী সময়ে একটি বাসস্থানের প্রাকৃতিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের একটি আশ্চর্যজনকভাবে কার্যকরী ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে, এটি একটি গরম জলবায়ুতে প্রয়োজনীয়৷
অত্যন্ত কম অপরাধের হার এই দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ করে তোলে। অতএব, এটি বিশ্বাস করা হয় যে সন্ধ্যায়, কেবল স্থানীয় বাসিন্দাই নয়, অসংখ্য পর্যটকও নির্ভয়ে বিশ্রাম নিতে পারে এবং দোহা (কাতার) শহরের দিকে তাকিয়ে সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে পারে। "এটি কি এমন কিছু আশ্চর্যজনক জায়গা যা এত গরম এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ, কিন্তু একই সাথে বহিরাগতভাবে আকর্ষণীয় এবং বেশ ব্যয়বহুল?" - যারা এখানে এসেছেন তারা দুঃখের সাথে বলছেন৷
