আজ আমরা ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলো দেখব। সর্বোপরি, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জলাশয়। এর উষ্ণ জলে, অনেকগুলি দর্শনীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপ রয়েছে যা ভ্রমণকারীদের উদাসীন রাখতে পারে না। উপরন্তু, তারা সব প্রকৃতি সংরক্ষণের হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়. তাদের অধিকাংশই প্রধানত পশ্চিম অংশে কেন্দ্রীভূত। এখন আমরা তাদের কয়েকটির সাথে সাথে তারা কী ধরণের মধ্যে বিভক্ত তা আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখব। জিনগতভাবে, তারা হল: প্রবাল, আগ্নেয়গিরি এবং মহাদেশীয়।
মেইনল্যান্ড এবং আগ্নেয় দ্বীপ
বৃহত্তমটি প্রথমটির অন্তর্গত - শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কার, মাসাইরাই, কুরিয়া-মুরিয়া, সোকোট্রা, বৃহত্তর সুন্দা, পাশাপাশি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোচীন এবং আরবের উপকূলে অবস্থিত অনেকগুলি ছোট দ্বীপ। এদের অধিকাংশই চুনাপাথরের মালভূমিতেপ্রাচীন প্রিক্যামব্রিয়ান গ্রানাইট। পাহাড়ীও আছে। সুপরিচিত সেশেলসের নিজস্ব বিশেষ কাঠামো রয়েছে। সমুদ্রের তলদেশের মধ্যে, এইগুলিই গ্রানাইট দ্বারা গঠিত একমাত্র কাঠামো। ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলি, যেগুলি আগ্নেয়গিরির উত্স, উন্মুক্ত মহাসাগরের দ্বীপ এবং উত্তরণ অঞ্চলের দ্বীপগুলিতে বিভক্ত। পরেরটি দ্বীপ আর্কসের উপাদান।
তাদের পাহাড়ী ত্রাণ রয়েছে, তাদের শিখরগুলি আগ্নেয়গিরির শঙ্কু দিয়ে মুকুটযুক্ত। এগুলি হল নিকোবর, আন্দামান এবং বৃহত্তর সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ। এগুলি অল্প পরিমাণে আগ্নেয়গিরির টাফের উপর ভিত্তি করে এবং আরও বেশি পরিমাণে বেসাল্টের উপর ভিত্তি করে। ভারত মহাসাগরের আগ্নেয় দ্বীপ, যেমন প্রিন্স এডওয়ার্ড, ক্রোজেট, কেরগুলেন, সেন্ট-পল, আমস্টারডাম, মাসকারেন, কোমোরোস, আকারে ছোট এবং আগ্নেয়গিরির পৃষ্ঠের শীর্ষ। প্রায় সবসময় তাদের চারপাশে প্রবাল প্রাচীর থাকে।
কোরাল দ্বীপপুঞ্জ
পৃথিবীর জলের এই অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল প্রবালের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীপগুলি। এগুলি বেশিরভাগ অংশে সাধারণ প্রবালপ্রাচীর, যেগুলি প্রচুর পরিমাণে মুশলি, প্রবাল বালি, ধ্বংসস্তূপ এবং নুড়ি দ্বারা গঠিত। এই ধরনের একটি প্রবালপ্রাচীর একটি আকর্ষণীয় উদাহরণ দিয়েগো গার্সিয়া. কিন্তু প্রবাল উৎপত্তির ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলি আরও জটিল প্রবালপ্রাচীর, অনেকগুলি ছোট প্রবালপ্রাচীর সমন্বিত এবং ব্যাস 150 কিলোমিটার পর্যন্ত। এগুলি বিশাল রিং-আকৃতির কাঠামো, যেমন কোকোস, আমিরেন্ট, ছাগোস, মালদ্বীপ, ল্যাকাডিভের মতো দ্বীপ। তাদের মধ্যে অনেকগুলি প্রাচীর উত্থানের কারণে গঠিত হয়েছিল৷
কয়েকটি উদাহরণ। ক্রিসমাস দ্বীপ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 365 মিটার উপরে, নারকেল উত্থানের সর্বোচ্চ বিন্দুতে গঠিত হয়েছিল, ট্রোমেলিন দ্বীপটি পানির স্তর থেকে পাঁচ মিটার উপরে এবং এটির নীচে মাস্কারিন বিষণ্নতা 4000 মিটার। ভারত মহাসাগরের প্রবাল দ্বীপগুলিকে আর কী আলাদা করে? সত্য যে তারা প্রধানত নারকেল খেজুর জন্মায় এবং ম্যানগ্রোভ বনের ঘন দুর্ভেদ্য ঝোপগুলি সংরক্ষণ করে। এটি বিশেষ করে সত্য, উদাহরণস্বরূপ, আমিরেন্ট দ্বীপপুঞ্জের জন্য। তাদের সমস্ত সৌন্দর্য এবং অনাবিষ্কৃত স্থানগুলির কারণে, এই জাতীয় স্থানগুলি ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়৷
ভারত মহাসাগর দ্বীপপুঞ্জ, পূর্বাঞ্চলের দ্বীপের তালিকা
এখন আমরা পূর্ব ভারতের অঞ্চলের অন্তর্গত দ্বীপগুলির তালিকা করব: আন্দামান, অ্যাশমোর এবং কার্টিয়ার, ক্রিসমাস, কাকাডু, কোকোস (কিলিং), ডার্ক হার্টগ, গার্ডেন আইল্যান্ড, জাফনা, ক্যাঙ্গারু, ল্যাংকাউই, কিং আইল্যান্ড, মেনতাওয়াই, নিয়াস, নিকোবর, পেনাং, ফি ফি, ফুকেট, সিমেলু, শ্রীলঙ্কা, মান্নার।
আসুন বিষয়টি চালিয়ে যাওয়া যাক, ভারত মহাসাগরের পশ্চিম অংশে দ্বীপগুলি কী কী। এগুলি হল: আগালেগা, ব্যাঙ্ক ডু গিজার, বাসাস দা ইন্ডিয়া, কারগাডোস কারাজোস, চাগোস দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরোস, ইউরোপ, জুয়ান ডি নোভা দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ - দ্বীপপুঞ্জ, মাদাগাস্কার, মাফিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, মায়োট, পেম্বা, রিইউনিয়ন, রডরিগেস, ট্রোমেলিন, জাঞ্জিবার। এবং অবশেষে, মাদাগাস্কারের দক্ষিণে অবস্থিত কয়েকটি দক্ষিণ দ্বীপ: আমস্টারডাম, ক্রোজেট, হার্ড, ম্যাকডোনাল্ড, কেরগুলেন, প্রিন্স এডওয়ার্ড, সেন্ট পল।
মাদাগাস্কার একটি অনন্য ভারতীয় দ্বীপমহাসাগর
যদি আমরা ভারত মহাসাগরের বৃহত্তম দ্বীপগুলি বিবেচনা করি, তবে মাদাগাস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না, যার ইতিহাস আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুহূর্ত থেকে শুরু হয়, প্রায় কয়েকশ মিলিয়ন বছর। এটি বিশ্বের সমস্ত দ্বীপের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম। এটিতে উদ্ভিদ, প্রাণী এবং পাখির একটি আশ্চর্যজনক বৈচিত্র রয়েছে, যার বেশিরভাগ - প্রায় 80% - অনন্য। এখানে বিদ্যমান বিস্তীর্ণ বনগুলি সারা বিশ্বের গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের আকর্ষণ করে৷
এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমন্ডলও উদ্ভিদের জৈবিক বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। এই জায়গাগুলিতে, আপনি এমনকি ডাইনোসরের সময় থেকে প্রাণী খুঁজে পেতে পারেন, যেমন গিরগিটি, যাদের চল্লিশটি প্রজাতি রয়েছে। আরও পঞ্চাশ জাতের লেমুর নিন। তারা সবাই মিলে বাওবাব এবং কাঁটাযুক্ত বনের মতো চমৎকার গাছ বেছে নিল। এর অত্যাশ্চর্য অনন্যতার সাথে, মাদাগাস্কার নিজেকে অষ্টম মহাদেশের মতো মনে করে৷
সেশেলস
যদি আমরা ভারত মহাসাগরের বৃহত্তম দ্বীপগুলি নিই, তবে সেশেলস, যেটি 1976 সালে স্বাধীন হয়েছিল, তাদের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। তারা 455 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে, 23টি জেলায় বিভক্ত এবং আফ্রিকা থেকে 1,600 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাদের চারপাশে নিম্নলিখিত দ্বীপগুলি রয়েছে: পুনর্মিলন এবং মরিশাস - দক্ষিণে, মালদ্বীপ - উত্তর-পূর্বে এবং কমোরোস - দক্ষিণ-পশ্চিমে। এখানে প্রায় 80 হাজার স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই চীনা, ভারতীয়, আরবি, আফ্রিকান এবং ফরাসি বংশোদ্ভূত।
মাতৃভাষা ক্রেওল, তবে ইংরেজি এবং ফরাসিও ব্যাপকভাবে কথ্য। সেশেলস দ্বীপপুঞ্জের 115টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে 33টি জনবসতি। এখানকার জলবায়ু সামুদ্রিক উপক্রান্তীয়, গড় বার্ষিক তাপমাত্রা 29 ডিগ্রি, মার্চ এবং নভেম্বরে প্রচুর বৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ পর্যটক এখানে সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে, ডাইভিং এবং দর্শনীয় স্থান দেখতে আসেন।
মরিশাস হল ছুটির স্বর্গ
যদি আমরা ভারত মহাসাগরের একটি একক দ্বীপ বিবেচনা করি, আরামদায়ক থাকার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তাহলে আপনাকে মরিশাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একই নামের দেশটি আফ্রিকার অন্যতম ধনী, ঔপনিবেশিক ফরাসি অট্টালিকা, রঙিন ভারতীয় মন্দির, প্রাতঃরাশের জন্য ক্রোয়েস্যান্ট এবং রাতের খাবারের তরকারি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এখানে বিভিন্ন ধর্ম ও মানুষ সহাবস্থান করে এবং একটি সফল বহুসাংস্কৃতিক সমাজ গড়ে উঠেছে।
দ্বীপটির আকার ছোট, আপনি একদিনে এটির চারপাশে গাড়ি চালাতে পারেন, এটি একটি শীর্ষ-শ্রেণীর রিসর্ট, যেখানে দুর্দান্ত পরিষেবা ব্যাপক জনপ্রিয়তার সাথে মিলিত হয়। সৈকতের বিস্তৃত ক্রিয়াকলাপ উপলব্ধ, এমনকি আপনি বড় মাছের জন্য মাছ ধরতে যেতে পারেন৷
